ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানাধীন খোলামোড়া ঘাটের কাছে বুড়িগঙ্গা নদীতে বালিবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাডুবিতে ৩ জন নিখোঁজ ও ৬ জন কে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়েছেন বসিলা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে আটটার দিকে সংঘঠিত এই দুর্ঘটনায় তিনজন নিখোঁজ ও স্থানীয়দের সহায়তায় ছয়জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাতে নদী পারাপারের সময় একটি নৌকা তিনটি বালুবাহী বাল্কহেডে মাঝে পড়ে ডুবে যায়। নৌকার মাঝিসহ মোট নয়জন যাত্রী ছিলেন নৌকায়। তাদের মধ্যে ছয়জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও, লাকি (৩৫), মোহনা (১৭), ও আরিফা (১৫) নামের তিন জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
দুর্ঘটনা হতে উদ্ধার হওয়া আরিফ জানান, তার ছেলে সোহান বাল্কহেডের উপর লাফ দিয়ে প্রাণে বাঁচতে সক্ষম হলেও বাল্কহেডের লোকজন তাকে বসিলা ব্রিজের কাছে নিয়ে গিয়ে লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে নদীতে ফেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা সোহানকে নদীতে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করেন।
স্বজনদের অভিযোগ নৌকা ডুবে যাওয়ার পর মাঝিদের কাছে যাত্রীদের উদ্ধারে সহযোগিতা চাইলে তারা না করে টাকা দাবি করেন। এছাড়া, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে দেরিতে পৌঁছানো এবং ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল স্রোতের কারণে রাতে আসতে পারবে না বলে জানায়।
নদীতে নৌকায় পারাপার হওয়া যাত্রীদের অভিযোগ, নদীতে সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত বালুবাহী বাল্কহেডের চলাচল করার কথা থাকলেও তা ২৪ ঘন্টাই চলছে। রাতে বাল্কহেডের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছে না মালিকরা। তাছাড়া নৌকায় ৬ জন যাত্রী পারাপার হওয়া হওয়ার কথা থাকলেও বেশি টাকার লোভে ৮-১০ জন যাত্রী নিয়ে নৌকা চলাচল করে। ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনা।
নদীর দুই পাড়ে বসবাস করা লাখো মানুষের দাবী দ্রুত সময়ে খোলামোড়া ঘাটে সেতু নির্মাণ করা হোক। সেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত নৌকা চলাচল বন্ধ করে ট্রলার চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তাদের।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।