ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এলাকায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী লুবনা মনি (১৪) অপহরণের ঘটনায় তার পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বাড়ির সামনে থেকে সিএনজি করে তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর মা মানসুরা।
লুবনার মা জানান, তার স্বামী একজন প্রবাসী এবং লুবনা তার একমাত্র মেয়ে। তিনি অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী যুবক রাকিব (২০) লুবনাকে উত্ত্যক্ত করছিল। বিষয়টি রাকিবের বাবা দুলাল (৫৫) ও মা হাসিনাকে (৪৫) জানানো হলে তারা কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো বিয়ের প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় আসামিরা প্রকাশ্যে হুমকি দেয় যে, তারা লুবনাকে যেকোনো উপায়ে অপহরণ করবে।
পরবর্তীতে এই ঘটনা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় জানানো হলে, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে উভয়পক্ষের মধ্যে আপোষ-মীমাংসা হয়। তবে সেই আপোষ লঙ্ঘন করে রাকিব ও তার পরিবারের সদস্যরা একাধিক ব্যক্তির সহায়তায় লুবনাকে অপহরণ করে।
অপহরণের পরপরই পরিবার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে এবং ৬ ফেব্রুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। তবে মামলার প্রধান আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ করেছে পরিবার।
লুবনার মা দাবি করেন, সাংবাদিক পরিচয়ধারী শেখ ফরিদের সহায়তায় আসামিরা পুলিশি গ্রেফতার এড়িয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা থানায় একাধিকবার গিয়েছি, কিন্তু পুলিশ নানা অজুহাতে আসামিদের ধরছে না। আমার মেয়েকে উদ্ধারের জন্য কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি তারা।”
কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লুবনার মা-বাবা, মামা রিপনসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তারা দ্রুত অপহৃত লুবনা মনিকে উদ্ধার ও রাকিবসহ অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
লুবনার মা মানসুরা বলেন, “আমি একজন অসহায় মা। আমার মেয়েকে বখাটেরা অপহরণ করেছে, অথচ পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমি প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি, আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দিন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন।”
কেরাণীগঞ্জ দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম জানান, আসামীদের গ্রেপ্তার ও ভিক্টিমকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।