কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি:
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অনলাইনে চাঁদা দাবির অভিযোগে বিশেষ অভিযানে তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলা ডিবি (দক্ষিণ)পুলিশ । এ সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১২টি মোবাইল ফোন ও পাঁচটি ভিজিটিং কার্ড উদ্ধার করা হয়।
২৮ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দুপুরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মো. ইমন আলী (২৩), মো. নাহিদুল ইসলাম (২৭), মো. তানজির ওরফে তানজু (২৮)।
তিনি জানান, ৫ আগস্ট ২০২৫ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুজ্জামান (পিপিএম) কেরানীগঞ্জ মডেল থানার বন্দডাকপাড়া এলাকায় সরকারি কাজে গেলে বিষয়টি তার নজরে আসে। অজ্ঞাত পরিচয়ের কয়েকজন প্রতারক তার পুলিশি পোশাক পরিহিত ছবি হোয়াটসঅ্যাপে প্রোফাইল পিকচার বানিয়ে নিজেকে এসপি পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে চাঁদা দাবি করছিল।

ঘটনার পর পুলিশ সুপারের নির্দেশে ডিবি (দক্ষিণ) ঢাকা জেলার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে চৌকস টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারকদের অবস্থান শনাক্ত করে। কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরির সুত্র ধরে ২৬ আগস্ট ২০২৫ করার পর রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় ২৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ৬টায় রাজশাহীর বাঘা থানার আশরাফপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত চারটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ও আটটি বাটন ফোনসহ মোট ১২টি মোবাইল ফোন এবং পাঁচটি ভিজিটিং কার্ড উদ্ধার করা হয়, যাতে “আনিস, পুলিশ সুপার, ঢাকা জেলা” লেখা ছিল।

এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা রুজু হয়েছে। মামলায় দণ্ডবিধির ১৭০/৩৮৫ ধারা এবং সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ ২০২৫-এর ২২/২৭ ধারা যুক্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল হক ডাবলু ।

পুলিশের পক্ষ থেকে সাধারণ জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। কেউ যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অর্থ দাবির প্রমাণ পান, তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় থানায় বা পুলিশের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল হক ডাবলু ও ঢাকা জেলা ডিবি (দক্ষিণ) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম।